পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চিকনিকান্দী ইউনিয়নের সূতাবাড়িয়া গ্রামে দুইশত বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী দয়াময়ী মাঘি সপ্তমী মেলা হাজার হাজার দর্শনার্থীদের কোলাহলপূর্ণ উৎসব মুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর ৬ টা থেকে কালী পূজা ও শিব পূজার মধ্য দিয়ে এ মেলার কার্যক্রম শুরু হয়। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাক-ঢোল, শঙ্খ সহ বিভিন্ন বাদ্য-বাজনা ও দর্শনার্থীদের কলরবে মুখরিত ছিল মেলা প্রাঙ্গন।
মেলায় অনেক শিশুর বাৎসরিক মাথা মুন্ডন করা হয়। এছাড়া মেলার কালী মন্দিরে পাঠা বলিদান হয়। মেলায় রঙ বেরঙের আকর্ষণীয় বিভিন্ন খেলনার দোকান, পল্লী বাসীদের স্ব-হস্তে তৈরিকৃত বুনন শিল্পের সামগ্রী, গৃহস্থলীর ব্যবহার্য তৈজস পত্রের পণ্য সামগ্রী, মাটির তৈরি বাসন-কোসনের হরেক রকম দোকান, মিষ্টি সামগ্রীর দোকান, খাবারের দোকানের পসরা বসে।
মেলা কমিটির সভাপতি বিমল সমাদ্দার ও সাধারণ সম্পাদক যুগল কৃষ্ণ দেবনাথ জানান, অর্থের অভাবে মেলার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এ ব্যাপারে মেলার পুরোহিত নিখিল চন্দ্র গাংগুলী (৬০), পরিমল চন্দ্র গাংগুলী (৫০), বিধান গাংগুলী (৪০) এরা বলেন, প্রতি বছরের মত এবারও মেলা শুরু হয়েছে, তবে নদী ভাঙ্গনের ফলে স্থান সংকুলন না হওয়ায় মেলায় আগত মানুষদের দাঁড়িয়ে থেকে বেশ দুর্ভোগ সহ্য করে মেলার আনন্দ উপভোগ করতে হচ্ছে।
মেলাটি এ অঞ্চলের হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি তথা বিশেষ ভাবে শিশু-কিশোর ও তরুণ-তরুণীদের কাছে বিপুল আনন্দের খোরাক। এ বিষয়ে চিকনিকান্দী ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন রিয়াদ বলেন, দু’শ বছরের পুরনো এ মেলা। নদী ভাঙ্গনের কারণে মেলাটি ছোট হয়ে এসেছে। এ বিষয়ে আমি কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। মেলায় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির সহ-সম্পাদক মু. মামুন আজাদ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক অবনী শীল, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য বিবেক দেবনাথ, দেবাল সমাদ্দার, সমাজ সেবক বাবু আইচ প্রমুখ।